‎পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিউটি বেগম নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৮ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

‎দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলম বরগুনার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। ‎রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‎দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে স্বামী ফিরোজ আলম তার স্ত্রী ও ৬ সন্তানের জননী বিউটি বেগমকে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজেকে বাঁচাতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা তার প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে ফিরোজ। কিন্তু হত্যার ঘটনায় নিহত বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজের নাম উল্লেখ করে এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত আজ এ রায় দেন।

‎রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আকন বলেন, স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন।

‎শাফিউল মিল্লাত/আরকে