শিকারির ফাঁদে আটকা পড়া একটি চিত্রা হরিণ জীবিত উদ্ধার করেছে বন বিভাগের টহল দল। সুন্দরবনের জোংড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা নিয়মিত পেট্রলিংয়ের সময় সীমানা খাল-সংলগ্ন বন থেকে রোববার (২৬ অক্টোবর) হরিণটি উদ্ধার করা হয়।

হরিণটিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্ত করে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ১৪টি ফাঁদ।

জানা যায়, সুন্দরবনের জোংড়া টহল ফাঁড়ির আওতাধীন সীমানা খাল-সংলগ্ন বনাঞ্চলে সকাল আনুমানিক  সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টহল দল ‘Parallel Line Searching’ পদ্ধতিতে ফুট পেট্রল চালাচ্ছিল। সে সময় সিঙ্গেল মালা ফাঁদে আটকে থাকা একটি পুরুষ চিত্রা হরিণকে উদ্ধার করে তারা। ঘটনাস্থলেই হরিণটিকে সুস্থ অবস্থায় বনে অবমুক্ত করা হয়।

এরপর ওই এলাকার আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে আরও ১০টি সিঙ্গেল মালা ফাঁদ ও ৪টি সিটকা ফাঁদ উদ্ধার করে বনরক্ষীরা। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত টহল এবং ফাঁদ অপসারণের মাধ্যমেই হরিণ শিকার বন্ধ করা সম্ভব।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আমাদের বনকর্মীরা পায়ে হেঁটে, কষ্ট সহ্য করে এসব ফাঁদ সরাচ্ছে। এতে কষ্ট করে হরিণ মেরে মাংস খাওয়া কোনো যৌক্তিকতা নয়, এটা অপরাধ। যদি কোনো অপরাধী আমাদের হাতে ধরা পড়ে, তাকে আইনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে শাস্তি দেওয়া হবে। আমরা নিয়মিতভাবে সুন্দরবনে পেট্রলিং কর যাচ্ছি। আমরা চাই স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় সুন্দরবনকে ফাঁদমুক্ত করতে। যে কোনো ফাঁদ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

এএমকে