শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি কান্দা শেরী এলাকায় পরকীয়া সন্দেহে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত একাব্বর (২৮) ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাব্বর ছিলেন মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার ছেলে। আর ঘাতক ফারুক একই বাবার তৃতীয় স্ত্রী মুসেদার ছেলে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল (২৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে ফারুক নিজের স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে বড় ভাই একাব্বরের পরকীয়া সম্পর্ক আছে- এমন সন্দেহে ঝগড়া শুরু করেন। সকালেও ওই বিষয় নিয়ে উত্তেজনার জেরে ফারুক বড় ভাই একাব্বরকে ঘুম থেকে ডেকে ঘরের ভেতরেই ধারালো রামদা দিয়ে কোপ দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টায় পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ফারুকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম কোনো ধরনের পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন- ফারুক নেশাগ্রস্ত হয়ে এই নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে।

শেরপুর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমা জানান, সকালে জরুরি বিভাগে একাধিক রোগী আসে। এর মধ্যে একাব্বরের অবস্থা ছিল সবচেয়ে আশঙ্কাজনক। তার হাত, গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। জরুরি চিকিৎসার পর দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটি মূলত ভাইয়ের হাতে ভাই খুন। এই ঘটনায় এখানো কেউ আটক হয়নি। 

নাইমুর রহমান তালুকদার/আরএআর