ভাঙ্গা থানা চত্ত্বরে আসামির ভিডিও ভাইরাল
আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা চত্বরের একটি ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আদালতে পাঠানোর সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। থানা চত্বর থেকে গাড়িতে তোলার আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি হাত উঁচিয়ে বলেন- আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব। এ সময় আরেকজনকে বিজয় চিহ্ন (ভিক্টরি সাইন) দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।
ঘটনার ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজন সদস্যকে আদালতে পাঠানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। একটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের হলে রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদি গ্রামের নূর ইসলাম মাতুব্বরের ছেলে বাঁধন মাতুব্বর (২৩), পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের মৃত কল মাতুব্বরের ছেলে রফাত মাতুব্বর (২৫), ঢাকার ধামরাই থানার আফজাল শেখের ছেলে সজিব (২২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৃত দুখু মিয়ার ছেলে আকাশ (২১) এবং একই এলাকার মাজেদের ছেলে সাকিব (১৯)।
বিজ্ঞাপন
ভাঙ্গা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদ খান নামে এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফরিদ খান ভাঙ্গা বাজার থেকে এক্সপ্রেসওয়ের লোকাল লেন হয়ে পুলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সলিলদিয়া এলাকায় একটি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নেয়। পরে ফরিদ খান ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে এবং গত সোমবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জহির হোসেন/এআরবি