ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাইপলাইন ফেটে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, ভোগান্তিতে শহরবাসী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে গ্যাস সরবরাহ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে প্রায় সব বাসাবাড়ির চুলা নিভে যায়। সন্ধ্যা নামার পর খাবার রান্না থেকে শুরু করে চা-নাস্তা তৈরিসহ সবকিছুতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো পরিবার।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট চার লেন মহাসড়কের সম্প্রসারণ কাজের সময় সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় সড়কের নিচে থাকা ছয় ইঞ্চি ব্যাসের একটি গ্যাস পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাইপ ফাটার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস লিকেজ শুরু হলে দুর্ঘটনা এড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড শহরজুড়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
বিজ্ঞাপন
হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। সন্ধ্যার পর থেকে অনেকেই স্থানীয় হোটেল বা প্রতিবেশীর সহায়তায় রান্নার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রিক চুলা বা স্টোভ ব্যবহার করছেন, কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে তাতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভাদুঘর এলাকার গৃহিণী শিউলী আক্তার বলেন, রান্না করছিলাম, হঠাৎ চুলার আগুন নিভে গেল। পরে বুঝলাম গ্যাস নেই। শিশুর দুধ গরম দিতে পারিনি, এখন দোকান থেকে পানি কিনে গরম করছি। এমন হঠাৎ পরিস্থিতিতে খুব কষ্ট হয়।
বিজ্ঞাপন
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী শফিকুল হক বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চার লেন প্রকল্পের কাজের সময় পাইপলাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। কারিগরি দল মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
তবে রাত পর্যন্ত অনেক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ না ফেরায় নাগরিকদের মধ্যে বিরক্তি দেখা দেয়। শহরের কাউতলী রোড, টেংকেরপাড়, মেড্ডা, ফুলবাড়িয়া, দক্ষিণ মৌড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা গ্যাস না থাকার অভিযোগ করেন।
কাজীপাড়া এলাকার কানিজ ফাতেমা বলেন, প্রতিবার এমন হলে কোনো আগাম নোটিশ দেওয়া হয় না। অন্তত জানালে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এমনিতেই অর্ধেক সময় গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়।
মাজহারুল করিম অভি/এআরবি