ভালোবাসার টানে পাকিস্তান থেকে নওগাঁ চলে এলেন ফাইজা আজাদ
তাদের দেশ ভিন্ন। ভাষাও আলাদা। বড় হয়েছেন পৃথক সংস্কৃতিতে। এমন অনেক অমিল থাকা সত্ত্বেও এক হয়েছেন ভালোবাসার টানে। প্রথমে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। শুধু তাই নয়, নিজের জন্মভূমি ছেড়ে সীমানা পেরিয়ে নওগাঁর যুবক রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের ইতি টেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি তরুণী ফাইজা আজাদ।
সম্প্রতি পাকিস্তানে ওই তরুণীর আগমন ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি নববধূকে দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকিস্তানি ওই তরুণী পেশায় একজন চিকিৎসক বলে জানা গেছে। তিনি রাশিয়ার একটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের বহলা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম জীবিকার তাগিদে রাশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনা করছিলেন পাকিস্তানি তরুণী ফাইজা আমজাদ। রাশিয়াতেই তাদের প্রথম দেখা ও পরিচয় হয়, যা পরে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়ায়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে রাশিয়ায় ফাইজার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরের খুব কাছের হয়ে পড়ি। পরে ফাইজা তার পরিবারকে আমাদের সম্পর্কের কথা জানায়। প্রথমে আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ২২ আগস্ট পাকিস্তানে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিজ্ঞাপন
বিয়ের পর ফাইজা রবিউলের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। বর্তমানে তারা আত্রাইয়ের বহলা গ্রামে অবস্থান করছেন।
নববধূ ফাইজা আমজাদ বলেন, আমি রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে রবিউলের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। সবাই আমাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হতে চাই।
রবিউলের মা বলেন, ছেলের বউ আমাদের সবার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। বাড়িতে আসার পর থেকেই সবাইকে সাহায্য করছে। তাকে দেখতে প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছে।
আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশিদ বলেন, রবিউল ও ফাইজা আমার কার্যালয়ে এসেছিলেন। তারা জানায়, ভালোবাসার সম্পর্ক থেকেই তাদের পাকিস্তানে বিয়ে হয়েছে। তারা গতকাল রোববার (২ নভেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিল বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখনই তার নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই। আমি তাদের বলেছি, আপনারা এখন একসঙ্গে থাকেন, বিধি মোতাবেক নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
মনিরুল ইসলাম শামীম/এএমকে