নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য ইয়াসির আরশাদ রাজনের সমর্থকরা। এই আসনে বিএনপি কর্তৃক ফারজানা শারমিন পুতুলকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে রাজনের সমর্থকরা বাঘা-লালপুর-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। 

‎শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রাজন সমর্থকরা লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে র‍্যালি বের করেন। র‍্যালিটি মুহূর্তেই বিক্ষোভ মিছিলে রূপ নেয়।

‎মিছিল থেকে পুতুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা। মিছিলটি লালপুর ত্রিমোহনী চত্বরে এলে রাজনের সমর্থকরা বাঘা-লালপুর-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে পুতুলের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।

‎বিক্ষোভে গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল আক্তার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শতশত নেতাকর্মী অংশ নেন।

‎এ সময় বক্তারা বলেন, নাটোর-১ আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হলে ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনকেই মনোনয়ন দিতে হবে। মাঠে রাজনের গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক মজবুত। 

তারা অভিযোগ করেন, ফারজানা শারমিন পুতুলকে তৃণমূলের মতামতের বিরুদ্ধে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই এই আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে রাজনকেই মনোনয়ন দিতে হবে।

‎বক্তারা বলেন, পুতুল মনোনয়ন পাওয়ার পর ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর ও রক্তাক্ত করা হয়েছে। ইয়াসির আরশাদ রাজন লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সবচেয়ে ত্যাগী নেতা। তাই এই আসনে রাজনকে প্রার্থী করতে তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

‎উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে নাটোর-১ আসনে ফারজানা শারমিন পুতুলের নাম ঘোষণা করলে তৃণমূল পর্যায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

আশিকুর রহমান/আরএআর