চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্ত।  শনাক্ত বিবেচনায় ফলাফলের হার ৬৫.৬০ শতাংশ। এ দিন আরও তিনজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬ জনে।

সোমবার (২১ জুন) রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ১২৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে শনাক্ত হয় ৮২ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭৩২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জন, আলমডাঙ্গার সাতজন এবং জীবননগরের ২০ জন রয়েছে।

এ দিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন করে ১৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে মোট ১২ হাজার ৪৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল এসেছে ১১ হাজার ৫৫৮ জনের। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের ও জেলার বাইরে ১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১০ জন।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৩৮ জন। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৩২ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৭৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২১০ জন এবং জীবননগর উপজেলায় ১১৭ জন রয়েছে।

সদর উপজেলার ২৩২ জনের মধ্যে ১৮ জন হাসপাতালে, ২১৩ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৭৭ জনের মধ্যে ৬৮ জন বাড়িতে, আটজন হাসপাতালে এবং একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলার ২১০ জনের মধ্যে বাড়িতে ১৯২ জন, হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং রেফার্ড করা হয়েছে দুইজনকে। জীবননগর উপজেলার ১১৭ জনের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে এবং ১১০ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোববার (২০ জুন) সকাল ৬টা থেকে ২৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা এবং আলুকদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় লকডাউন চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এসএসএম ফাতেহ আকরাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (২১ জুন) দুপুরে জীবননগর উপজেলার একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ছাড়া মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে জীবননগর উপজেলার একজন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এক নারী সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন। তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হবে।  

আফজালুল হক/এসপি