যশোরে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা
যশোরে মারধর করে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সদর উপজেলার বাদিয়াটোলা গ্রামের মিলন হোসেনের মেয়ে ফারজানা আক্তার মুন্নি মামলাটি করেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন, একই উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের মোকলেচুর রহমান, তার স্ত্রী রেবেকা বেগম এবং ছেলে নূর আলম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল আসামি নূর আলম পারিবারিকভাবে ফারজানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর নূর আলম মালয়েশিয়া চলে যান। চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নূর আলম ছুটিতে বাড়ি এসে আইফোন ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা ফারজানার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে গত ২৫ অক্টোবর ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ফারজানা অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি আসামিরা নিশ্চিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গর্ভের সন্তান নষ্টের চেষ্টা করে। চিকিৎসা করানোর নামে আসামিরা গত ৪ নভেম্বর ফারজানাকে ওষুধ খেতে দেয়। ফারজানা তাদের দেওয়া ওষুধ খেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে মারধর করে। ফারজানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামিরা তাকে তার বাবার বাড়ি রেখে আসে।
পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা জানান, গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
রেজওয়ান বাপ্পী/আরকে