মাদারীপুর বাস টার্মিনালে দুর্বৃত্তদের ককটেল বিস্ফোরণ
মাদারীপুর পৌর বাস টার্মিনালে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বিজনেস সেন্টারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে হঠাৎ বাস টার্মিনালে থাকা পরিবহনগুলোর মধ্যে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। বিকট শব্দে আশপাশের শ্রমিক ও স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি (একাংশ) মোফাজ্জল হোসেন সান্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, এগুলো গজবলীগের কাজ। তারা জ্বালাও-পোড়াও এবং পরিবহনে আগুন দেওয়ায় এক্সপার্ট। এর আগে প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংয়ে বাস টার্মিনালে পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি করেছিলাম। এখন পুলিশ যদি সেভাবে ভূমিকা না নেয়, তাহলে করার কিছুই নেই। তবে ককটেল বিস্ফোরণের পর টার্মিনালে থাকা প্রতিটি বাসের একজন করে শ্রমিককে অন্তত এই দুই দিন থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত রাতে চারজন পাহারায় থাকে। বর্তমানে টার্মিনালে লোকাল ও ঢাকার গাড়ি মিলে প্রায় ২০০টি বাস রয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনো ক্ষতি হয়নি। আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে এ ধরনের নাশকতা ঘটানো হচ্ছে। টার্মিনালে অনেক বাস রয়েছে, যাতে দুর্বৃত্তরা কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য বাস শ্রমিকদের পাহারায় থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনই কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না, কারণ কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং কারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
আকাশ আহম্মেদ সোহেল/এআরবি