রাজধানী ঢাকার হাইকোর্ট মাজারের পাশ থেকে ড্রামের ভেতর পাওয়া ২৬ টুকরো মরদেহের সেই আশরাফুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আল মাহফুজ মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে আসে আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ। ২৬ টুকরা মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন এবং এলাকাবাসী।

এদিকে, শুক্রবার এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে বন্ধু জরেজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। ওইদিন বিকেলেই কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি জরেজ ও তার প্রেমিকা শামীমাকে। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশ ও র‍্যাব-৩-এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিবি জানায়, রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুলকে হত্যার ঘটনায় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জারেজুল ইসলামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরকিয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি)।

আশরাফুল হকের মরদেহ গুম করতে ২৪ ঘণ্টার পরিকল্পনায় বাথরুমে টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়ে আসা হয় হাইকোর্ট মাজারের পাশে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আশরাফুল হকের বাল্যবন্ধু জরেজ আগে মালয়েশিয়ায় থাকতেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসে জাপান যাওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা ধার চেয়েছিলেন আশরাফুলের কাছে। সেই টাকা দেওয়ার জন্যই আশরাফুল জরেজকে ঢাকায় নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রবাসী বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা যান আশরাফুল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হাইকোর্ট মাজারের পাশে দুটি নীল ড্রামের ভেতর থেকে তার ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রযুক্তির সহযোগিতায় মিলে পরিচয়।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে