বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকার, কিছুদিনের জন্য। তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু কোনো কোনো রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি এবং গণভোটের দাবি তুলে বিষয়টি আরও জটিল করে দিল। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন- গণভোটের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। 

রোববার (১৬  নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত এক অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে স্থানীয় বিঘাই হাট স্কুল মাঠে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দল যাতে ইনক্লুসিভ, সবাই একত্রিতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, সব রাজনৈতিক দল যদি এটি চায় গণভোট হোক এবং ভোটের দিন একসাথে ভোট হবে। তবে প্রশ্ন থেকে যাবে। কোনো একটি আইনি কাজ করতে যাওয়া হয় এবং সেটির যদি আবার আইনি ভিত্তি না থাকে, তাহলে তো এটা ভবিষ্যতের জন্য সংকট তৈরি করবে। 

তিনি বলেন, শুধু নিজের ইচ্ছা এবং নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ‘আমার এটা মানতেই হবে’—এই মনোভাব রাখা উচিত নয়। সবাই মিলে কথাবার্তা বলা ঠিক আছে, কিন্তু আইনি ভিত্তি কতটুকু আছে সেটা তো জানতে হবে। এই বিষয়ে কতজন এক্সপার্টের সাথে কথা বলা হয়েছে, কারণ এই প্রশ্নগুলো আজকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে।

রিজভী বলেন, আজকে গনি মিয়ার মতো মানুষেরা ক্ষুধার্থ, এই ক্ষুধা নিবারণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রথমেই তো অনেক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া মহামারির আকারে বিস্তার করেছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রথমেই তো সরকারের দায়িত্ব নেওয়া দরকার ছিল। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোরও এই বিষয়ে কথা বলা দরকার ছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সাথে সকল চুক্তি করেছিলেন নিজ স্বার্থে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের কিছু চুক্তির শর্ত জনগণ জানতেও পারেনি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে সকল চুক্তি হবে জনগণের স্বার্থে। আমরা এখনো ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি আস্থা রাখি, সেই রাস্তা দুর্বল করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। 

এ সময় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি  স্নেহংশু সরকার কুট্টি  ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটনসহ জেলা ছাত্রদল, যুবদল , এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরএআর