শহীদ আব্দুল গণির স্ত্রী
‘হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুশি হয়েছি, রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই’
ফাইল ছবি
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে খুশি হয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ আব্দুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকি আক্তার।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি এ কথা জানান। শহীদ আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। তিনি রাজধানীর গুলশান-২ এ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন।
বিজ্ঞাপন
জুলাই আন্দোলনে শহীদ আব্দুল গণির স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। শেখ হাসিনার নির্দেশেই পুলিশ গুলি চালিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। এ রকম আরও হাজার হাজার মানুষকে শেখ হাসিনার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনি হাসিনার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই। দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থল গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে যাওয়ার পথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আব্দুল গণি। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী লাকি আক্তার, ২০ বছর বয়সী ছেলে আলামিন শেখ ও ছয় বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত।
বিজ্ঞাপন
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর