ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এ সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বুধবার (২৩ জুন) জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- লকডাউন চলাকালে অন্য কোনো জেলা কিংবা উপজেলা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেই সঙ্গে এই জেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না। সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ ও পরিবহন এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। সকল পশুর হাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ ঘটে এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সভায় ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা, উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাশু দত্ত টিটো, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপনসহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনার প্রকোপ বেড়েই চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের পরও কমেনি এই জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আজ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সব কিছু বিবেচনায় আমরা সাতদিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৩২ জন। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৭১ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬০ জন।

নাহিদ রেজা/আরএআর