বগুড়ার ধুনটে নিখোঁজের তিন দিন পর নুরুল ইসলাম তালুকদার (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিতহ নুরুল ইসলাম ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের নিশিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল কোন থানার অন্তর্ভুক্ত- এ নিয়ে চার ঘণ্টা ধরে দুই থানা পুলিশের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েন চলে। পরে মরদেহ শেরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতের ছেলে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে ধান ক্ষেতে তার বাবার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ধুনট থানায় খবর দেয়। 

ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিত হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রস্তত করি। নিহত নুরুল ইসলামের চোখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল ধুনট ও শেরপুর থানার সীমানাবর্তী এলাকায় হওয়ায় সীমানা জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তী মথুরাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরসহ স্থানীয়দের সহযোগিতা নেওয়া হয়। এরপর নুরুল ইসলামের পড়ে থাকা লাশের স্থানটি শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়ানের লাঙ্গলমোড়া মৌজা নিশ্চিত হওয়ায় ৪ ঘণ্টা পর নুরুল ইসলামের মরদেহ শেরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নুরুল ইসরামের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে জমিজমা নিয়ে আমার স্বামীর চাচাত ভাই নাজি উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। 

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন, আঘাতজনিত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আব্দুল মোমিন/আরকে