পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী—এই তিন উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-২ আসন গঠিত। রাজবাড়ীর দুইটি আসনের মধ্যে এই আসনটি নিয়েই সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সবসময় বেশি আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা কাজ করে থাকে। জেলার রাজনীতিতে সবসময় আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে এই আসনটি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি। এই আসনটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছে দলটি। শরীক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে (এনডিএম) এই আসনটি বিএনপি ছেড়ে দেবে—বিভিন্ন সূত্রে এমনটিই শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এই আসনটিকে ধানের শীষের জন্য ধরে রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাদে অন্য কোনো দলকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, খেলাফতে মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম শোনা গেলেও তারা এখনো প্রচারণায় নামেনি। প্রার্থিতার বিষয়ে আপাতত নিশ্চুপ জাপাসহ অন্যান্য দল।

বিগত সময়ে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট পাঁচবার এই আসনটি তাদের দখলে ছিল। ১৯৯১ সালে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন মরহুম ডা. এ কে এম আসজাদ। এরপর থেকে এই আসনে জামায়াত আর সুবিধা করতে পারেনি। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত চায় তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। এ আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দুইবার বিএনপি, একবার জামায়াতে ইসলামী, দুইবার জাতীয় পার্টি ও দুইবার জাসদ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবু আলীগের প্রার্থী জিল্লুল হাকিমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১-এর পর থেকে ১৯৯৬, ২০০৮-এর পরে তিন বিতর্কিত নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এ এই আসনটি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিমের দখলে ছিল। সর্বশেষ জিল্লুল হাকিম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। কিন্তু ২০২৪-এর ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই তিনিসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা পলাতক রয়েছেন।

রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপির সক্রিয় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একদিকে সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু, আরেক দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ হারুন। সাবু দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী অধিকাংশ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। ৫ আগস্টের আগেও অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে কিছুটা বাইরে ছিলেন তিনি। তবে তিনি বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। নিজে কয়েকটি জনসভায় সশরীরে উপস্থিত থেকেছেন। আবার নিজে উপস্থিত না থাকতে পারলেও নেতাকর্মীরা তার হয়ে প্রোগ্রাম করে দিচ্ছেন।

আর হারুন জেলায় দলীয় কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি নির্বাচিত এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ শাসনামলে হারুন রাজপথে থেকে জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত রেখেছেন। জেলা বিএনপির একাংশ হারুনের হয়ে কাজ করছে।

সাবুর সঙ্গেও বিএনপির একাংশ রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় গ্রুপিং থাকায় এক গ্রুপ সাবু ও আরেক গ্রুপ হারুনের হয়ে কাজ করছে। সাবু ও হারুন গ্রুপ তাদের নিজেদের আধিপত্য নিয়ে মাঝেমধ্যেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।

নাসিরুল হক সাবু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সত্তরের দশকে তিনি পাংশা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন।

সাবু ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রাজবাড়ী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রাজবাড়ী-২ আসন থেকে পরজিত হয়েছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও এবারো তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তার সমর্থকরা নিয়মিত জনসভা ও কর্মী সমাবেশ করে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনকে সমানে রেখে তার প্রস্তুতি সেভাবে প্রকাশ্যে না আসলেও তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে একজন।

একাধিক প্রার্থীর বিষয়ে নাসিরুল হক সাবু বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, এ দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতেই পারেন। তবে আমি বিএনপির মনোনয়ন চাইবো। আশা করছি, হাইকমান্ড আমাকে নিরাশ করবে না। গত ১৭ বছর দলের প্রতি আমার ত্যাগ ও তিতিক্ষাও কম না।

হারুন-অর-রশিদ হারুনও এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন। তিনি বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপি থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের দুঃসময়ে আমি দলের ও কর্মীদের পাশে ছিলাম। এজন্য দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে মনে করি। তবে দল যাকেই প্রার্থী করুক আমি তা মেনে নিয়ে একত্রে কাজ করবো।

এ ছাড়া, রাজবাড়ী-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনিও নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও জনসভা করেছেন। তিনি মনে করেন, দল তাকে সঠিক সময়ে মূল্যায়ন করবে।

বিএনপি থেকে আরও চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তারা হলেন—রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু, পাংশা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও পাংশা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদুল হক রোজেন ও বিএনপি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম।

তবে, এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিএনপি থেকে ধানের শীষের মনোনয়নের জন্য নাসিরুল হক সাবু অথবা হারুন অর রশিদ, এই দুজনের যে কোনো একজনকেই দল বেছে নেবে বলে সাধারণ ভোটাররা ও বিএনপির কর্মীরা মনে করছেন।

নাসিরুল হক সাবুর সমর্থকরা বলেন, সাবু সাহেব প্রবীণ নেতা। এই অঞ্চলে বিএনপিকে শক্ত অবস্থানে ধরে রাখতে তার অবদান রয়েছে। তাই হাইকমান্ড তাকে নিরাস করবে না।

হারুন-অর-রশিদ হারুনের সমর্থকরা বলেন, গত ১৭ বছর জেলা বিএনপিসহ রাজবাড়ী-২ আসনের তিন উপজেলাকে নিজের সন্তানের মতন আগলে রেখেছেন হারুন সাহেব। অনেক নির্যাতন, নিপিড়ীন, হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য একমাত্র তিনিই।

রাজবাড়ী-২ আসনে এগিয়ে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ আসনে দলটি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক পাংশা পৌর শহরের কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমির সাবেক শিক্ষক হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন মাস্টার দাড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তিনি প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মো. হারুন-উর-রশিদের দাবি, ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর আর কখনো এককভাবে জামায়েত এই আসনে প্রার্থী দেয়নি, তবে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে জামায়েত এই আসন থেকে নির্বাচন করবে। আগের থেকে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ও নেতাকর্মীর সংখ্যা অনেকগুন বেড়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়েও সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। এই আসন আবার জামায়াতের দখলে আসবে বলে অনেকেই মনে করেছেন।

জামায়াতের প্রার্থী হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন মাস্টার বলেন, ১৯৯১ সালে এই আসনে জামায়াত প্রার্থী ডা. একেএম আসজাদ ১৫ দলীয় জোটের প্রার্থী ইঞ্জি. একেএম নাসিরুদ্দিনকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াত অংশ নিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যায়। ১৯৯৬-এর পর এই আসন থেকে এককভাবে কোনো নির্বাচনে যায়নি জামায়াত। আমরা পরে জোটের সঙ্গে ছিলাম। এ ছাড়া, পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হলেও তখন আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশে ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারিনি। হামলা মামলার কারণে আমরা এক প্রকার নিস্ক্রিয় ছিলাম। তবে আমাদের ভেতরের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি এই আসনের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাদের কাছে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে এই অঞ্চল থেকে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল, কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নির্ধারণ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করবো। এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমি সাধারণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। তাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

ইংশাআল্লাহ জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে এই অঞ্চলে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি থাকবে না বলেও জানান তিনি।

এই আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোমিনুল আমিন। জনমত গঠনের লক্ষ্যে তৃণমূলে লিফলেট বিতরণ, নির্বাচনী গনসংযোগ, পথসভা, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচিত হলে অবহেলিত এই অঞ্চলের তরুণদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ইউরোপের উন্নত দেশ গুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ জনপদের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি৷

অপরদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইয়েদ জামিলের নাম।

সাইয়েদ জামিল পাংশা পৌর শহরের বাসিন্দা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে পোস্টার-ব্যানার দিয়ে নিজের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন তিনি। তবে নির্বাচন নিয়ে এনসিপি বা সাইয়েদ জামিলকে এখন পর্যন্ত গণসংযোগ বা প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। তিনি এনিসিপি থেকে মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন।

এ ছাড়া, খেলাফত মজলিসের দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হচ্ছেন—হাফেজ ইব্রাহিম খলিল ও হাফেজ হাসিবুল ইসলাম শিমুল। এ ছাড়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক এ আসন থেকে হাতপাখা নিয়ে লড়বেন। তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এখন সময় দেশকে আমাদের হাজার বছরের লালিত ইসলামের আদর্শে গড়ে তোলার। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে মানুষের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, মানুষের জন্য কাজ করবেন, সৎ, যোগ্য ও নির্ভিক এমন প্রার্থীকেই তারা এবার ভোট দিয়ে এই আসনের এমপি নির্বাচিত করবেন।

কৃষি প্রধান রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও পাংশায় বিপুল ধান, পাট ও পেঁয়াজের চাষ হয়। এই তিন উপজেলায় সড়ক ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও নিশ্চিত করা যায়নি উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য। যে কারণে লোকসানের মুখে পড়ার অভিযোগ করেন কৃষকরা। তারা আরও জানান, কৃষিকে লাভজনক করার আশা নিয়ে তারা ভোট দেন, কিন্তু কোনো সংসদ সদস্যই কৃষকের জন্য কাজ করেন না। তাই এবার তারা এমন একজন জনপ্রতিনিধি চান যিনি সংসদে কৃষকদের নিয়ে কথা বলবেন, কৃষকদের জন্য কাজ করবেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুটি আসনের মোট ভোটার ১০ লাখ ৪ হাজার ৯৯। এর মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের ভোটার ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৯২ জন এবং রাজবাড়ী-২ আসনের ভোটার ৫ লাখ ৫১ হাজার ৯০৭ জন।

রাজবাড়ী-২ আসন তিনটি উপজেলা, ২৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনের মধ্যে পাংশা উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৬৬৩, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৭০ এবং কালুখালী উপজেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৪। এ আসনে মোট পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৯, নারী ভোটার ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৫৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫ জন।

এএমকে