বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ১৩ জেলে, উদ্ধার অভিযানের দাবিতে সড়ক অবরোধ
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ১৩ জেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ১৪ দিন পার হলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ মিলেনি। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাদের স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টানা দুই ঘণ্টা লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলবার সিকদার সড়কের দালাল বাজার এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশ্বাস দিলে স্বজনরা অবরোধ তুলে নেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ২৩ নভেম্বর ‘বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৩ জেলে’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা জানান, গত ১০ নভেম্বর পাঁচ দিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ফারুক মাঝির নেতৃত্বে ১৩ জেলে একটি ফিশিং বোটে করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। ১১ তারিখ ট্রলারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা নিখোঁজ হন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও উদ্ধার অভিযানে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে দরিদ্র এসব পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে তারা সাগরে উদ্ধার অভিযান শুরুর দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। স্বজনদের ভাষায়, নিখোঁজ জেলেরা কোথায় এবং কেমন অবস্থায় আছেন তা তারা কিছুই জানেন না।
বিজ্ঞাপন
এ সময় লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ জেলে পরিবারগুলোর উদ্দেশে বলেন, নিখোঁজদের খোঁজে কোস্ট গার্ড ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগরে কার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হলে প্রশাসন সর্বোচ্চ সরকারি সহায়তা দেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে রয়েছেন ট্রলার মালিক ফারুক (৫৩), মো. জাহাঙ্গীর (৩৮), মো. শামিম (২৩), মো. খোকন (৩৫), মো. সজিব (২২), মো. আলম (৪৬), হেলাল উদ্দিন (৪০), মো. ফারুক (৪২), মাকসুদুর রহমান (৪২), ছাব্বির (২৫) এবং নাছির, আব্দুল মালেক, মাকসুদ। তাদের সবার বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
খাইরুল ইসলাম/এআরবি