গুজবে বিব্রত পরিবার
মনোনয়নের খবরে নয়, অসুস্থ হয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
২৩৭টি আসনের পর আরও ৩৬টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আলমগীর ফরিদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ও মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম।
মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে- প্রিয় নেতার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে খুশিতে উত্তেজনায় স্ট্রোক করে ফরিদ মারা গেছেন। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে মনোনয়নের খবরে মারা যাওয়ার বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেছে ফরিদের পরিবার।
বিজ্ঞাপন
অসত্য তথ্যে বিব্রত পরিবার জানিয়েছে, ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং আগেও কয়েকবার স্ট্রোক করেছেন। টানা ১৫ দিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সপ্তাহে তাকে কালারমারছড়ার নোনাছড়িস্থ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ফরিদের ভাতিজা মোহাম্মদ নিশান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলমগীর চাচার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আমার চাচা খুশিতে স্ট্রোক করে মারা গেছেন এ খবর মোটেও সত্য নয়। উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফরিদুল আলমের অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল জানিয়ে নিশান আরও বলেন, চাচাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার সব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে আমরা তাকে পাশের বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জানাজা শেষে বিএনপি নেতা ফরিদের দাফন সম্পন্ন হবে জানিয়ে তার ভাতিজা বলেন, দয়া করে গুজব বা অসত্য তথ্য ছড়াবেন না। সবাই আমার চাচার জন্য দোয়া করবেন।
বিএনপির স্থানীয় এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আলমগীর ফরিদ সাহেবের খুব ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন ফরিদ। তারা একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু মৃত্যুর সংবাদকে বিকৃত করে প্রচার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃত মানুষকে নিয়ে এমন আচরণ কাম্য নয়।
এদিকে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফরিদুল আলমের মৃত্যুতে বিএনপি প্রার্থী আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদসহ নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/এআরবি