মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকেলে গজারিযা উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে এবং ভাঙচুর করা হয় একটি গাড়ি।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় পাওয়া ছয় জন হলেন— স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদ (১৭)।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন। রতনের নাম ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে মহিউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রতনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহিউদ্দিনের সমর্থকরা মশাল মিছিল নিয়ে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি।
বিজ্ঞাপন
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, আমাদের হাসপাতালে দুইজন রোগী এসেছিলেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। তার দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।
জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও রতনপন্থী মাসুদ ফারুক বলেন,
রতন গজারিয়ার সন্তান। তার মনোনয়ন পেয়ে এলাকাবাসী আনন্দিত। আজকের ঘটনাটি আসলে আওয়ামী লীগের দালালদের প্রতিহতের ঘটনা।
অপরদিকে যুবদল নেতা আলী হোসেন অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা করেছে, গাড়ি ভেঙেছে। বাড়িতেও হামলার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে আছে।
মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতাকর্মীদের বলবো দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত আমরা তিনজন আহতের তথ্য নিশ্চিত হয়েছি।
ব. ম শামীম/এনএফ