করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন ডিসি শামীম আহমেদ

রাস্তার পাশে বসে আম বিক্রি করছিলেন এক বৃদ্ধা। তাকে দেখেই কাছে গেলেন নাটোরের নবাগত জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। বৃদ্ধার কাছে জানতে চাইলেন সারাদিনের আয়-রোজগারের খোঁজখবর। সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শুনলেন ডিসি। তখনও ওই বৃদ্ধা জেলা প্রশাসককে চিনতে পারেননি। পরিচয় জানার পর খুশিতে ওই বৃদ্ধা জেলা প্রশাসককে খাওয়ার জন্য দুটি আম দিয়ে বলেন, টাকা দিতে হবে না। আমি এমনি তোমায় ভালোবাসে দিচ্ছি।

এ সময় বৃদ্ধার ভালোবাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। পরে তিনি অসহায় ওই বৃদ্ধাকে সহায়তা করেন।

অপরদিকে, জুতা সেলাই করছিলেন বয়সের ভারে নুব্জ এক বৃদ্ধ। কখন একজন কাস্টমার আসবেন সেই অপেক্ষায় বসে আছেন তিনি। ঠিক তখনই সেখানে হাজির হলেন জেলা প্রশাসক। তারও খোঁজখবর নিলেন জেলা প্রশাসক। শুনলেন তার দুঃখ দুর্দশার কথা। পরে তাকেও সহায়তা করেন ডিসি।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্পর্কে কথা বলেন ডিসি

এর আগে দুপুরে নাটোরের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজখবর নিতে রাস্তায় নামেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে নাটোর পৌরসভা এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণ করেন ও অসহায় মানুষের খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ সময় তিনি শহরের বিভিন্নস্থানে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্পর্কে কথা বলেন।

এদিকে নাটোরের ৮টি পৌরসভায় চলমান বিধিনিষেধ সফল করতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। 

ডিসি শামীম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনায় কাজ করে যাচ্ছি। শুধু সরকারের নির্দেশ পালন করেই দায়িত্ব শেষ করতে হবে এমনটা ঠিক নয়। সবাইকে নিজের বিবেক থেকে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষ যাতে নিরাপদ থাকেন সেজন্য যোগদানের পর থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।

তাপস কুমার/এমএসআর