মাদারীপুরে ধানের খড়ের পালায় আগুন দিয়ে এক গরু ব্যবসায়ীর ৪টি গরু চুরির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ওয়াজেদ তালুকদার (৫৫) ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে জেলার রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা উত্তর হোসেনপুর গ্রামে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আনোয়ার খালাসি (৪০) একই গ্রামের মৃত আরসেদ খালাসির ছেলে। অভিযোগ করা হচ্ছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন পার্শ্ববর্তী নেহাল মাতুব্বর (৩৭), ইমরান মাতুব্বর (৩৭), হৃদয় মাতুব্বর (২৫) ও বিজয় মাতুব্বর (২৪)। তারা সবাই ওয়াজেদ তালুকদারের লোক বলে দাবি করা হয়েছে।

পুলিশ, ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের উত্তর হোসেনপুর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনের একটি জমি নিয়ে ওয়াজেদ তালুকদারের সঙ্গে আনোয়ার খালাসির পরিবারের বিরোধ চলছে। জমি সংক্রান্ত এ বিরোধে দুই পরিবারের মধ্যে মামলা এখনও মাদারীপুর আদালতে বিচারাধীন। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা আনোয়ার খালাসির একটি ধানের খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আগুন নেভাতে ব্যস্ত সুযোগে গোয়ালঘর থেকে ওয়াজেদ তালুকদার ও তার লোকজন ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। পরে আগুনের তীব্রতায় খড়ের পালা পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ভুক্তভোগী আনোয়ার খালাসির বোন লাছুদা বেগম বলেন, রাতে আমি ভাইয়ের (আনোয়ার) ঘরে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আরেক ভাইয়ের (সুজন খালাসি) বউয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি খড়ের পালায় আগুন লেগেছে। সবাই মিলে আগুন নেভাতে ব্যস্ত থাকার সুযোগে গোয়ালঘর থেকে ওয়াজেদ তালুকদার ও তার লোকজন ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গে তাদের জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে, তাই তারাই এই কাজ করেছে।

এ বিষয়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াজেদ তালুকদার বলেন, আনোয়ারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ আছে- এটা সত্য, মামলা চলমান রয়েছে সেটাও সত্য। কিন্তু আগুন লাগা বা গরু চুরির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি তো আগুন নেভানো নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।

রাজৈর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস.আই) ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আকাশ আহম্মেদ সোহেল/এআরবি