মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ডাকাত সন্দেহে তিন যুবককে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ জানায়, আটক যুবকদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, তিনটি রামদা, ২০টি ককটেল ও ছয়টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, গণধোলাইয়ে আহত হওয়ায় তিন যুবককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহত অবস্থায় আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী আটক তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জসিম বেপারির ছেলে রাসেল মিয়া (৩০), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু হানিফ (৪২) এবং গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে লোকমান হোসেন (৩৫)।

শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ, কাশেম মিয়া ও জালাল উদ্দীনসহ কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, সম্প্রতি এলাকায় চুরি ও ডাকাতি বাড়ায় স্থানীয়রা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তারা ১০-১২ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দলকে বিদ্যালয়ের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। গ্রামবাসী ধাওয়া দিলে দলের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করা সম্ভব হয়। তাদের কাছ থেকেই ২১টি কার্তুজ, তিনটি রামদা, ২০টি ককটেল ও ছয়টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আটক তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তারা বলেন, আটককৃতরা জিতু রাঢ়ী গ্রুপের সদস্য।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নূরে আলম জিকু বলেন, আটক তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সবারই আঘাত সামান্য। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের পুলিশের জিম্মায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ব. ম শামীম/এআরবি