রাহাত আরা বেগম
ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেছেন, তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) যখন নির্বাচন করেন ১৯৮৮ সালে, তখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কিন্তু তলানিতে চলে গিয়েছিল। তখন ঢাকায় তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে আমাকে ও আমার দুই মেয়েকে ছেড়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের হাল ধরেছিলেন। তিনি পৌরসভার মেয়রের নির্বাচন করেছিলেন সাইকেল মার্কা নিয়ে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মহেশালী গ্রামে এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রাহাত আরা বেগম বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে তিনি এমপি হয়েছিলেন। এমপি হওয়ার পর মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কৃষিমন্ত্রী হলেন আওয়ামী লীগের মতিয়া চৌধুরী। তখন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আমার স্বামীর মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেছিলেন। আমার এক আত্মীয়কে মতিয়া চৌধুরী ডেকে বলেছিলেন, তোমার মির্জা রুহুল আমিন ও তার ছেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কি কোনো টাকা-পয়সার প্রয়োজন পড়েনি? তারা বাবা-ছেলেই কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তাদের কোনো দুর্নীতির প্রমাণ আমরা পাই নাই। আমরা তন্নতন্ন করে ফাইলগুলো খুঁজেছি কোথাও কোনো চুরি বা দুর্নীতি করেছেন কি না।
তিনি আরও বলেন, আমি আজকে বলব আপনাদের স্যার এর আগে কয়েকবার নির্বাচন করেছেন। এবারে নির্বাচনটা ওনার শেষ নির্বাচন। এরপর আর তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তার অনেক বয়স হয়ে গেছে। এবার একটা সুযোগ এসেছে। তিনি গোটা বাংলাদেশের মহাসচিব, শুধু বিএনপির নয়। তাকে যদি ভোট দিয়ে বা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারেন তাহলে তিনি বড় জায়গায় যাবেন। ১৬ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। তারপরও মানুষের জন্য অনেক করার চেষ্টা করেছি। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে ইনশাআল্লাহ আপনাদের একটা নতুন বাংলাদেশ উপহার দেবে। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের এরকম পরিকল্পনা আছে।
বিজ্ঞাপন
রাহাত আরা বেগম বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের স্যারকে ভোট দিয়ে আবারও জয়যুক্ত করেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইনশাআল্লাহ ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিনসহ ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রেদওয়ান মিলন/এসএসএইচ