বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আবু সাঈদদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শোক র‌্যালি শেষে নগরীর দমদমা বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার তৃতীয় তলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, বুদ্ধিজীবী হিসেবে শুধু শিক্ষক সমাজই নয়, বরং দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদসহ অনেক তরুণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রংপুর অঞ্চলেও অনেক বুদ্ধিজীবী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কেউ কেউ শহীদ হয়েছেন এবং অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। স্থানীয় ইতিহাস, স্মৃতিচারণ ও গবেষণালব্ধ তথ্য তাদের আত্মত্যাগের স্পষ্ট সাক্ষ্য বহন করে।

শওকাত আলী বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ ও অনুপ্রেরণাকে ধারণ করে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যলয়ের সকল অগ্রযাত্রায় সবাই শরিক হয়ে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের অগ্রযাত্রার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী খোকন ইসলাম।

আলোচনা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বেরোবি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর