মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নতুন ঘর পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভূমিহীনরা। উপজেলার ধূবইল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আজমতপুরে তৈরি করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৮টি ঘর। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া ভূমিহীনদের ঘরে উদ্বোধনের পাঁচদিনের মাথায় ফাটল দেখা দিয়েছে। 

এতে নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ফাটল ধরলে ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করে দেওয়া হবে। 

এর আগে গত ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের সঙ্গে মিরপুর উপজেলাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে আজমতপুর এলাকার ঘরগুলো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। ওইদিনই উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। 

ঘর পাওয়া কয়েকজন জানান, তারা ভূমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছেন। কিন্তু এমন ঘর পেলেন যে ঘরে নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই ফাটল ধরল। তাছাড়া অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা।  

ধূবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুর রহমান বলেন, আমি এখনো এই বিষয়ে কোনো কিছু শুনিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরগুলো যদি টেকসই না হয় তাহলে তার মহান উদ্যোগে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সবকিছুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করেছেন। দয়া করে তার সঙ্গে কথা বলুন। ঘরগুলো যদি টেকসই না হয় বা ফাটল ধরে তাহলে তো ব্যর্থতাই বলা যায়। কারণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রকল্প। 

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে উপজেলার ধূবইল ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামে ১৮টি ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। 

তিনি বলেন, প্রকল্পের ঘরের পিলার ফেটে যাওয়ার খবর এই প্রথম শুনছি। আমি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব। ফাটল ধরতে পারে। মিস্ত্রিদের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর