ভেকুর নিচে ফেলে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা
রাজশাহীতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় ভেকুর (এক্সকেভেটর) চাকার নিচে ফেলে আহমেদ জুবায়ের (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আহমেদ জুবায়ের মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষিকাজ করতেন। ১৭ ডিসেম্বর) ঘটনার পরে আটক হওয়া ভেকু চালক আবদুল হামিদকে (২৮) এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল হামিদ টাঙ্গাইল জেলার কাদিমহামজানি উত্তরপাড়ার সবুর উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে সকালে মোহনপুর থানা থেকে নিহত জুবায়েরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় শত শত মানুষ ভীড় করে জুবায়েরকে শেষবারের মত দেখতে। এরপরে মাগরিবের নামাজের পরে তাকে বাড়ি থেকে ২০ গজ দূরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কর হয়।
বিজ্ঞাপন
মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক ভেকুচালক আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মরদেহের মায়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামে একটি বিলে ভেকুর চাকার নিচে জুবায়েরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা একটি মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন দেয়।
শাহিনুল আশিক/আরকে