ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বিপ্লবী জুলাইযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে শোক র‌্যালি, বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় সমাবেশ হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এরপর রংপুর মডেল মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জুলাই স্মৃতিসৌধ চত্বরে গিয়ে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা 'ভারতের আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, 'আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, 'লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, 'আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজিব, জাতীয় ছাত্রশক্তি রংপুর জেলা আহ্বায়ক মুহিব, মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকিতুর রহমান মুকিত, কেন্দ্রীয় কার্যপরিষদ সদস্য ও মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা আহ্বায়ক আল মামুন, বিএনপির মহানগর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি আল আমিন, গণসংহতি আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা গোলাম জাকারিয়া, বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু এবং ইনকিলাব মঞ্চ, জুলাই ঐক্য প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বক্তব্য শেষে তারা হাতে হাত রেখে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ভারতীয় সব ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবিলার শপথ গ্রহণ করেন।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত, আমরা শুধু ফ্যাসিস্টকে চিন্তা করি দোসরকে চিন্তা করি না। এখন তারা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেছে। তাদের যেভাবে ছাড়া যাবেনা তাদের দোসর কেউ ছাড়া যাবে না।

পরে আবার একটি বিক্ষোভ মিছিল জুলাই স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে শুরু হয়ে কাচারি বাজার জিলা স্কুল-সংলগ্ন ডিসির মোড়ে গিয়ে শেষ করে। সেখানে ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে ডিসির মোড়কে 'শহীদ শরিফ ওসমান হাদি চত্বর' ঘোষণা করেন বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। এ সময় বিএনপির এই নেতা জানান, হাতে হাত মিলিয়ে আজকে যেমন শহীদ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছি আগামীতে ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলায় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

এর আগে, জুমার নামাজের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও জুলাই আন্দোলনকারী অংশ নেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে