১২টি ব্যারিকেড থাকার পরও আশপাশের বিভিন্ন বাইপাস সড়ক ব্যবহার করছে জনগণ

মাদারীপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ২২ জুন ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ফলেও চলছিল ঢিলেঢালা লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুন) লকডাউনের চতুর্থ দিনে মাদারীপুর শহরের জনগণের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শহরের প্রায় ১২টি রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা প্রশাসন ও মাদারীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরান বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়।

সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও লকডাউন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। যান চলাচল অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক। শহরের ভেতরে ১২টি ব্যারিকেড থাকার ফলে তারা আশপাশের বিভিন্ন বাইপাস সড়ক ব্যবহার করছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের পাশাপাশি সব দোকানপাট খোলা রয়েছে। জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্যসচেতনতা মানার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে অনিহা।

কেন বাইরে বেরিয়েছেন, এমন প্রশ্নে অটোরিকশাচালক শাহাবুদ্দিন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাইর না হইলে কী খামু কন স্যার? পেট তো আর কথা হুনে না। ঘরে বউ-পোলাপাইন আছে। ওদের তো খাওন দিতে হইব। বাইরে বাইর হইলে পুলিশ অটো থানায় লইয়া যায়, তারপরও পলাইয়া পলাইয়া অটো চালাই।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউন কার্যকর করার জন্য মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে।

পুলিশের কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এএসআই) তুহিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার কোনো যানবাহন পেলেই থামিয়ে দিই। তারপর তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। অনেকে দূর থেকে আমাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষকে ঘরে রাখার, কোনোভাবে তাদের আটকানো যাচ্ছে না। এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ