লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রামের খামারিরা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। এ বছর চাহিদার চেয়েও কোরবানির পশু বেশি থাকায় এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার স্থানীয় খামারিরা তাদের খামারে পরিচর্যাসহ ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে খামারিদের আশঙ্কা, যদি চোরাই ও বৈধ পথে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করে, তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তাদের। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা, রাস্তাঘাটে সমস্যা না হওয়া ও বর্ডারের পরিস্থিতি ভালো থাকে, তবে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রামের খামারিরা।

এই দুর্যোগকালীন ও আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারতীয় পশু চোরাই ও বৈধ পথে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী পশুর হাটে এলে তাতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে পশুর খামার রয়েছে ১ হাজার ৭৫টি। এগুলোর মধ্যে শুধু রাজারহাট উপজেলায় অর্ধেক। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজারের ওপর কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে। আবার অনেকে বয়স্ক গাভিগুলোকে কোরবানি দিয়ে থাকেন। সে হিসাব ধররে আরও ৩০ হাজার পশু বেশি হবে। আমাদের এ জেলায় প্রকৃত পশুর চাহিদা ৮০ থেকে ৮৫ হাজার। বাকি সব পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাবে।

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের গরুর খামারি একরামুল হাসান বলেন, সব কাজ বাদ দিয়ে খামারে সময় দিচ্ছি। যাতে খামার থেকে লাভবান হতে পারি। আর একটা সমস্যা হচ্ছে ঈদের আগে যদি ভারতীয় গরু আমাদের দেশে প্রবেশ করে, তাহলে তো আমরা গরুর ন্যায্যমূল্য পাব না। আশায় রয়েছি যেন ভারতীয় গরু প্রবেশ না করে, দেখা যাক কী হয়।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার বলেন, বর্ডারের বিষয়ে ১৭ জুন সমন্বয় মিটিংয়ে কথা বলা হয়ে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিজিবি তাই ভারতীয় গরু প্রবেশ না করার সম্ভাবনা আছে। রাস্তা-ঘাট ঠিকঠাক থাকলে এখানকার খামারিরা এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাবেন। তাই আমরা মনে করছি তেমন কোনো সমস্যা হবে না খামারিদেরঅ তাদের ব্যবসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম জামাল হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো ভারতীয় পশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি রয়েছে আমাদের।

মো. জুয়েল রানা/এনএ