বারদী হাই স্কুলের ১২৫ বছর পূর্তিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বারদী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখা এই প্রতিষ্ঠানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য ও পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১২৫ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও মাই টিভির সাংবাদিক ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রোকনুজ্জমান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইব্রাহিম আদহাম, মূখ্য সমন্বয়ক দেওয়ান ফজলুর রহমান, লায়ন তোফাজ্জল হোসেন, প্রধান উপদেষ্টা হাজী মুজিবুর রহমান, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগরসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশু সাহিত্যিক শাহআলম, দেওয়ান হাবিবুর রহমান, প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, বারদী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মোস্তফা, সোনারগাঁ থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা আক্তার, সোনালী ব্যাংকের এজিএম দেওয়ান মতিউর রহমান, ব্যাংকার মনির হোসেন, প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। দিনভর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও আনন্দঘন পরিবেশে মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো ক্যাম্পাস। এ সময় দেশ, জাতি এবং প্রয়াত শিক্ষকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তবে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর মৃত্যুর কারণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষিত থাকায় পূর্ব নির্ধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এরপরও বর্ণাঢ্য এই আয়োজন বারদী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গৌরবময় ইতিহাস ও শিক্ষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নতুন করে উজ্জীবিত করে।
মীমরাজ হোসেন/এমএএস