কক্সবাজারের মেরিনড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সৈকত এলাকায় আবারও মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সৈকতের উখিয়া উপজেলার মনখালী অংশে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। 

স্থানীয় জেলে ছৈয়দ মিয়া জানান, প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল, প্রচন্ড দুর্গন্ধ থেকে অনুমান করা যায় দুই-তিন দিন আগেই এটি মারা গেছে।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর মেরিনড্রাইভ লাগোয়া টেকনাফের শিলখালী সৈকতে একই রকমের আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।

২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে স্তন্যপায়ী ডলফিন সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এগুলো শিকার করা, খাওয়া, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিবহন ও ক্রয়বিক্রয় করা দণ্ডনীয় অপরাধ। 

বিজ্ঞানীদের মতে, কক্সবাজারের সৈকত এলাকায় ভেসে আসা ডলফিনগুলোর বেশিরভাগই বিপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত ইরাবতী প্রজাতির যার বৈজ্ঞানিক নাম Orcaella বা অরক্যালা। 

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম শরীফ বলেন, ডলফিন সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন সংগ্রহ করে। অনেক সময় জালে আটকা পড়ে তারা মারা যেতে পারে, তবে প্রকৃত কারণ জানতে অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক দিনে অন্তত ৪টি মৃত ডলফিন দেখতে পেয়েছেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে এই সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি ইরফান উল হাসান বলেন, একটা সময় সৈকতের অদূরে অসংখ্য ডলফিনের বিচরণ ছিল কিন্তু বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে। কি কারণে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতার বিকল্প নেই। সামুদ্রিক প্রাণ ও পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত ভূমিকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

ইফতিয়াজ নুর নিশান/আরকে