মাদারীপুরে গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। এদিন থেকে গণপরিবহনের পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের লঞ্চ চলাচল। শুধু জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। 

তবে জরুরি যানবাহনের পরিবর্তে ফেরি যেন শুধুমাত্র যাত্রী পারাপারের নৌযানে পরিণত হয়েছে। এদিকে, শনিবার লকডাউনের ৫ম দিনেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।

আগামী সোমবার (২৮ জনু) থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর সকাল থেকেই শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। তবে ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি কাউকে। 

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মোটরসাইকেল, নছিমন-করিমন ও থ্রি হুইলারে চড়ে ঘাটে আসছেন। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যানবাহনের তুলনায় ফেরিগুলো বেশির ভাগ যাত্রী নিয়ে পারাপার হচ্ছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোর থেকেই সরকারি নির্দেশনা মতে নৌরুটের ৮৭টি ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ এমন লকডাউন দিয়ে দেবে ভাবতে পারিনি। দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ভাড়া বেশি দিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। আমার পরিবারের সবাই ঢাকায়। তাই বাধ্য হচ্ছি ঢাকা যেতে।

খুলনা থেকে আগত যাত্রী সাজ্জাদ বলেন, বাস চলাচল বন্ধ। সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তিন-চার গুন ভাড়া দিতে হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া) আহমদ আলী জানান, জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যাত্রীরা ঘাটে চলে এলে তাদের থামানো যায় না। যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীরাও পার হচ্ছে। শনিবার ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে।

নাজমুল মোড়ল/এমএএস