মো. নুরুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম

পর পর ৪ বার পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো. রফিকুল ইসলাম। ২ বার তিনি কাউন্সিলর পদে বিজয়ীও হয়েছেন। কিন্তু গত পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে তিনি সবাইকে কথা দিয়েছিলেন আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এ বছরের পৌর নির্বাচনে তার বড় ভাই মো. নুরুল ইসলামকে সমর্থন জানাবেন। অবশেষে ছোট ভাই মো. রফিকুল ইসলাম তার দেয়া কথা রাখেননি। কাউন্সিলর পদে এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে, কথা না রাখায় কাউন্সিলর পদে ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন বড় ভাই মো. নুরুল ইসলামও।

আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে। একই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাই নুরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম ওই ওয়ার্ডের উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে, একই ওয়ার্ডে এক ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আরেক ভাই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা রকম আলোচনা ও সমালোচনা।

মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই দুই ভাই মো. নুরুল ইসলাম (ঢেঁড়স) এবং মো. রফিকুল ইসলাম (গাঁজর) প্রতীক ছাড়াও কাউন্সিলর পদে বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেন রতন (টেবিল ল্যাম্প), আনোয়ার হোসেন (উট পাখি), মো. আল্লাদ মিয়া (পানির বোতল), মো. সোহেল রানা আকাশ (পাঞ্জাবি) ও মো. এমরান হোসেন খান (ডালিম) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী ছোট ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ওয়ার্ডে ৪ বার নির্বাচন করে আমি ২ বার বিজয়ী হয়েছিলাম। এবারও জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশা করছি। তবে একটি বিশেষ মহল আমার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা আমার সহজ-সরল বড় ভাইকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

এ নিয়ে বড় ভাই মো নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, পর পর ৪ বার আমরা ছোট ভাই রফিককে দিয়ে নির্বাচ করিয়েছি। ২ বার সে বিজয়ীও হয়েছে। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে সে কথা দিয়েছিল আর কোনো নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সে অংশগ্রহণ করবে না। এবারের নির্বাচনে আমাকে সমর্থন জানাবে। কিন্তু সে তার কথা রাখেননি। তাই পরিবারসহ এলাকাবাসীর সমর্থন নিয়ে আমিও নির্বাচনে নেমেছি।

উল্লেখ্য, মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এসপি