গোপালগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধিকে পেটালেন বিএনপি প্রার্থীর লোক
গোপালগঞ্জ -১ (মুকসুদপুর -কাশিয়ানীর আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার নির্বাচনী প্রতিনিধিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মো. শাহ আলম। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে। তাকে পেটানোর পাশাপাশি সেলিমুজ্জামানের সমর্থকরা কাবির মিয়ার নির্বাচনী হলফনামাসহ যাবতীয় কাগজপত্র জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ( ২৪ ডিসেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে মারাত্মক আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি।
মারধরের শিকার শাহ আলম বলেন, “কাবির মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ জেলে আছেন। আমি তার পক্ষে গত মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম কিনেছি। বুধবার বিকেলের দিকে হলফনামা সহ যাবতীয় কাগজপত্র টাইপিংয়ের জন্য জেলা শহরের কোর্ট চত্বরে একটি কম্পিউটারের দোকান যাই। সেখান থেকে কাজ শেষ করে কাগজপত্র নিয়ে রওনা দেওয়ার সময় কোর্টের গেটের সামনে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি লেলিন সিকদার, জেলা যুবদলের বহিস্কৃত সদস্য সচিব পলাশ সহ ১৫ - ২০ জন আমার উপর হামলা চালায়। লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে। আর বলতে থাকে সেলিমুজ্জামানের বিপক্ষে নির্বাচন করবি। তোরা ফ্যাসিস্ট। আমার হাত - পা ক্ষতিগ্রস্ত, মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই লাগছে। পিটানোর পর আমাকে তুলে নিয়ে সদর থানায় নিয়ে যায় তারা। ওসিকে বলে গ্রেপ্তার করতে। পরে ওসি সাহেব তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আমার বিষয়ে জানালে তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে বারণ করে। পরে বিএনপির ওই নেতাদের ওসি সাহেব বলে দেন যে তারে আগে চিকিৎসা করান। পরে আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে ভয়ে বলেছি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি আমাকে চিকিৎসা করান। সেখান থেকে কোন ভাবে একটু চিকিৎসা নিয়ে আমি জানে বেঁচে ফিরেছি।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “কাবির ভাই ফারুক খানের সাথে যুদ্ধ করে এই পর্যন্ত টিকে ছিল। তারপরও কাবির মিয়া কি ভাবে ফ্যাসিস্ট হয় আমার প্রশ্ন। আর নির্বাচনের মাঠ যদি এমন হয় তাহলে নির্বাচন কি ভাবে নিরপেক্ষ হয় আমার প্রশ্ন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিম বা তার পক্ষে কেউ যদি অভিযোগ দেয় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
আশিক জামান অভি/এসএমডব্লিউ