ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের অধীনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিয়োগ পরীক্ষায় সংঘবদ্ধ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সীপাড়া গ্রামের আনসার ইসলামের ছেলে আসাদ আলী এবং দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে মো. নূর আলম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধীনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে কড়া নজরদারি রাখা হয়। এ সময় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

একপর্যায়ে জানা যায়, মো. নূর আলম একজন পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। একই সময়ে আসাদ আলীর দেহ তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে ব্যবহারের প্রস্তুতি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে মো. নূর আলমকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনের দায়ে আসাদ আলীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উদ্ধার করা ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই আমরা কড়া নজর রাখছিলাম। সন্দেহজনক আচরণের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। এতে একজন প্রক্সিদাতা ও একজন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক হন।

তিনি আরও বলেন, এই দুইজন কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িত কি-না এবং জেলার অন্যান্য কেন্দ্রে একই ধরনের অনিয়মের চেষ্টা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্তের পর আরও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে। 

রেদওয়ান মিলন/আরএআর