কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন। কৃষির উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন।

রোববার (২৭ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪২৪ বঙ্গাব্দের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী মো.আব্দুর রাজ্জাক কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষের হাতে ব্রোঞ্জ পদক তুলে দেন। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলায় কৃষি উন্নয়নে রমেশ চন্দ্র ঘোষ ফল বাগান সৃজন, নিরাপদ ফসল ও সবজি উৎপাদন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষক সংগঠন তৈরি, জৈবসার উৎপাদন, ইঁদুর নিধনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া তাল বীজ রোপণ, কৃষক সমাবেশ, উঠান বৈঠক, মাঠ দিবস, কৃষি বায়োস্কোপ ইত্যাদির মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে এনেছেন।

রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করে কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করি। আমি চাই কৃষকের উন্নয়ন, কৃষির উন্নয়ন। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। তাই সুষম, নিরাপদ ও শক্তিশালী খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি সবসময় কৃষকের সঙ্গে ছিলাম, এখনো আছি এবং আগামীতেও থাকব।

জাতীয় কৃষি পুরস্কার অর্জনকারী রমেশ চন্দ্র ঘোষ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের রাধাপদ ঘোষের ছেলে। তার মায়ের নাম স্মৃতি রানী ঘোষ। তার পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, মেয়েসহ ১৪ জন সদস্য রয়েছে। 

১৯৯৯ সালে দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০১ সালে কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে স্নাতক এবং ২০০৯ সালে কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ থেকে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার আগে ২০১১ সালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রাজু আহমেদ/এসপি