জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৭৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৫ জন। বুধবার (৩০ জুন) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটিপিসিআর টেস্টে ৬০৭ জনের বিপরীতে ৪৫ জন ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ১৬৬ জনের মধ্যে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

করোনা সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জুন মাসে জেলায় ৭ হাজার ৯২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৬৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ জন। এই মাসে জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১৬ জন।

জয়পুরহাটে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ১০ মার্চ। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৯৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ২২ হাজার ৭৫৯ জনের এবং শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৮ জন মারা গেছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ জন।

সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৩২৭ জন। তাদের মধ্যে ৭৭ জন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গত ৭ জুন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরেরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জেলা প্রশাসন। এ বিধিনিষেধের মধ্যে ৭ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভায় গরুর হাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া ছিল। পরবর্তীতে ১৮ জুন একই বিধিনিষেধ কালাই পৌরসভা এলাকায় এবং ২৩ জুন আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল পৌরসভা এলাকায় জারি করা হয়। এই বিধিনিষেধের সময়সীমা আজ ৩০ জুন পর্যন্ত দেওয়া আছে।

জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের চিঠি এখনো পায়নি। ওই চিঠির ওপর ভিত্তি করে এই বিধিনিষেধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চম্পক কুমার/এসপি