শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ নামে এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের যে হাসপাতালের চেম্বারে বসে রোগী দেখেছিলেন- সেই হলি ল্যাব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু কাউছার (৪০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কাউছারের স্ত্রী লিজা (৩১) ও তার শ্যালক ইমরুল হাসান চৌধুরীও (২৩) করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে আসা তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের কুমারশীল মোড়স্থ হলি ল্যাব হাসপাতালের চেম্বারে বসে রোগী দেখেন ডা. শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ। তিনি হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. শাখাওয়াত হোসেন তানভীর জানান, কাউছার গত ২৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরদিন লিজা ও ইমরুল হাসান চৌধুরী নামে দুইজন নমুনা দেন। তাদেরও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টের কথা জানিয়ে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুই দফায় নমুনা পরীক্ষায় ডা. শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ করোনা পজিটিভ হন। তাকে আইসোলেশনে থাকার জন্য ছুটিতে পাঠায় হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আইসোলেশনে না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে রোগী দেখেন ডা. শ্যামল। গত ২৬ জুন তার পিসিআর ল্যাব পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। পরদিন ২৭ জুন তিনি হলি ল্যাব হাসপাতালের চেম্বারে বসে ৩০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি