সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সুনই জলমহালের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জেলে নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তি ছেলে সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মণ। অভিযোগপত্রে এমপি রতনসহ ৬৩ জনকে দায়ী করা হয়েছে।

বাদীর লিখিত অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুখন, আরও দুই ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ, মোবারক হোসেন যতনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগপত্রের একটি কপি ঢাকা পোস্টের হাতে পৌঁছেছে।

অভিযোগে উল্লেখিত বাকি অভিযুক্তরা হলেন (যথাক্রমে), মাহাবুব আলম রিপন (৪৫), আ. ছালাম মুন্সি (৪৮), সোহরাব (৪৫), তমিজ উদ্দিন (৫২), খায়রুল (৫০), কাশেম (৫৫), শাহজাহান (৩৫), সোফেল (২৮), জাহাঙ্গীর (৩২), রনি খান (৩৮), সালমান শাহ (৩০), আবু জাহিদ (৫০), জুলহাস (৩২), সম্রাট (৩৮), সাগর মিয়া (২৮), মনিরুজ্জামান মোহন (৩২), তানিন চৌধুরী (২৪), খোকন (৩৫), সুবল চন্দ্র বর্মণ (৫০), দিগেন্দ বর্মণ (৫০), গিয়াস উদ্দিন (৪২), সাগর বর্মণ (২৮), রিপন বর্মন (৩০), জানু খাঁ (২৫), রতন মিয়া (৫০), সামছুল হক চৌধুরী (৫৫), কবির মিয়া (৫০), স্বপন মিয়া (৫০), বাতেন মিয়া (৪২), তুফাজ্জল (৪০), চান মিয়া (৪৫), রুবেল (২৮), হালিম (২৫), শরীফ (২৮), মানিক (২৫), তানভির হোসেন সাগর (২৬), মোতালিব (৫৫), আব্দুল মোতালিব (৪০), আতাহারুল (৩০), মিয়া খাঁ (৪০), মনো মিয়া (৪০), কালাম (২৬), আনিস (৩২), পিন্টু (৩২), জসিম উদ্দিন (২৭), সোহেল (৩০), জুয়েল (৪০), পিয়াস (২৮), শাহবাজ (৪৮), আমির খাঁ (৪২), সোহেল (৩৫), নয়ন (৪০), মর্ত্তুজ আলী (৪২), জহুর উদ্দিন (৪৫), শাহজাহান মেম্বার (৬৫), বকুল মিয়া (৪৮), মহিউদ্দিন আহম্মেদ কনিক (৩৫), সোনা মিয়া (৫০), জায়েদ মিয়া (৫২)।

এদিকে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনই জলমহাল পাড়ের সুনই গ্রামে গেলে নিহত শ্যমাচরণ বর্মণের ক্ষুব্ধ স্বজনরা তার সামনেই তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন রুখনের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে।

ধর্মপাশার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনই জলমহালে শ্যামাচরণ বর্মণ নামে এক জেলে খুন হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের যাচাইয়ে ঘটনার দিন এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জে ছিলেন। এরপরও তাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ হওয়ায় মামলা গ্রহণে বিলম্বে হচ্ছে। যেহেতু সাংসদ ওখানে ছিলেন না, তাকে এভাবে আসামি করে মামলা গ্রহণ করলে যে কেউ যেকোনো সময় আসামি হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি চিন্তা করে দেখছি আমরা।

এনএ