মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। আর এই লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে সড়কে বের হলেই করা হচ্ছে মামলা-জরিমানা।

মাদারীপুরে শনিবার (৩ জুলাই) লকডাউন নিশ্চিতে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে ও জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সহযোগীতায় ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

এ সময় লকডাউন অমান্য করে ঘর থেকে বের হওয়াদের দেওয়া হয়েছে মামলা। আদায় করা হয়েছে জরিমানা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় আছেন।

জানা গেছে, মাদারীপুরের চার উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। লকডাউনে জেলার ওষুধের দোকান, ফলের দোকান, কাঁচাবাজারের খোলা রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শপিংমল ও অন্যান্য দোকান।

লকডাউন বাস্তবায়নে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস, সদরের এসিল্যান্ড হোসনেয়ারা তন্নি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেক্সোনা খাতুন, আব্দুল্লাহ আবু জাহের, ফাতেমা জান্নাত, মৌসুমি খানমসহ চারটি উপজেলায় একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে আমরা সচেতন করছি। সাধারণ জনগণ এবারের লকডাউন মেনে চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। অন্য জেলাগুলোর তুলনায় মাদারীপুরের লকডাউন পরিস্থিতি অনেক ভাল।

নাজমুল মোড়ল/এমএইচএস