করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিরোজপুরে আরটি-পিসিআর ল্যাব নেই। তাই জেলায় এ ভাইরাস শনাক্তের জন্য র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার ওপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু জেলা হাসপাতালের প্যাথলজিতে টেকনিশিয়ান সংকট থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী।

শনিবার (৩ জুলাই) বিকালে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন জানান, প্যাথলজিতে টেকনিশিয়ানের সংকট থাকায় শুক্রবার করোনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাই গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র তিনজন পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বরিশালে পাঠাতে হয়। এজন্য সময় লাগে অনেক বেশি। তাই দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য জেলায় র‌্যাপিড এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালে রয়েছে চিকিৎসকের তীব্র সংকট। যেখানে ৩৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে আছেন মাত্র ৪-৫ জন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ধার করে ২০ জন চিকিৎসক এনে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। টেকনিশিয়ান সমস্যার কারণে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সিভিল সার্জন বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টার হিসেবে জেলায় মোট সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ এবং জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে ৪০ জন। এছাড়া আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ জন রোগী।

এদিকে শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে পিরোজপুর শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার মাঠে থেকে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা চলমান রয়েছে।

মো. আবীর হাসান/এসকেডি