আর ১০ জন মানুষের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলেন হাজি মো. জানে আলম (৭৫)। কিন্তু বছর ২৫ আগে হঠাৎ তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়ে টিউমার। এরপর থেকে টিউমারটি বহন করছেন তিনি। টিউমারের জন্য শিশুরা ভয়ে তার কাছে আসতে চায় না।

জানে আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। ২৮ বছর আগে মুখের ডান পাশের মধ্য স্থানে ছোট একটি গোল আকৃতির মতো তৈরি হয়। প্রথমে গুরুত্ব দেইনি। পরে সেটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেটি ঝুলে পড়ে। প্রথম প্রথম সমস্যা হতো। এখন আর কোনো সমস্যা হয় না। বহন করা টিউমারটি দেখে শিশুরা ভয়ে দূরে সরে যায়। তখন একটু মন খারাপ লাগে।

তিনি আরও বলেন, টিউমারতো আমার দোষে হয়নি। তারপরও ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আল্লাহ রোগ দিয়েছে।  আল্লাহ চাইলে সুস্থ করতে পারেন। 
   
জানা গেছে, পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রুপাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাজি মো. জানে আলম। তার চার ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত।    

জানে আলমের আত্মীয় সাদ্দাম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাচার টিউমার যখন ছোট ছিল তখ বরিশালে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার দেখে বলেছিলেন, এই টিউমার আর কখনো ভালো হবে না। এটি অপারেশন করাও যাবে না। অপারেশন করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। তাদের টাকার কোনো সমস্যা নেই। টাকা খরচ করার পরও যদি তাকে বাঁচানো না যায় তাহলে লাভ কি? 
বৃদ্ধ মানুষ সুস্থ আছেন, হাঁটাচলা করতে পারেন ভালো লাগে।                         

আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সুলতান আহমেদ হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জানে আলম। তিনি অনেক ভালো মানুষ। তার গালে টিউমারটি দিন দিন বড় হচ্ছে। তার পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল।
          
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এসপি