রাজবাড়ীতে সংক্রমণের হার ৫৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ

রাজবাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ২ জন ও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ জন মারা যান।

এ নিয়ে রাজবাড়ীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫। একই সময়ে জেলায় ৩৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০৮ জন। এ নিয়ে রাজবাড়ীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৬২০। জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৫৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

রোববার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

করোনা শনাক্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের শামসুন্নাহার (৫২), পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল (৭৫) ও পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম (৬০)। তারা সবাই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ১৬১টি নমুনার মধ্যে ৫৮ জন পজিটিভ ও আরটি-পিসিআর ল্যাব টেস্টে ২১৮টি নমুনা আইসিডিডিআরবিতে পাঠালে ১৫০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

তাদের মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১৪৫ জন জন, পাংশায় ৩৪, কালুখালীতে ৮ ও গোয়ালন্দে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জেলায় করোনায় এখন পর্যন্ত মারা যান ৪৫ জন। তাদের মধ্য সদর উপজেলায় ২৫ জন, পাংশা উপজেলায় ১৩ জন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ২ জন, কালুখালি উপজেলায় ৩ জন ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ২ জন করে মারা গেছেন।

জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ১১৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬২ জন। তাদের মধ্যে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ২০ জন ও গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ ও কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন  চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 সিভিল সার্জন ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর ভূমিকায় রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করছেন না জনসাধারণ। এতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে রোগীদের করোনা ইউনিটে জায়গা দেওয়া যাচ্ছিল না। পরিস্থিতি পাঁচটি উপজেলার করোনা ইউনিটের শয্যাসংখ্যা বাড়িয়েছি।

এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের মাধ্যমে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য উপজেলাগুলোয় নতুন আরও ২৫টি কনসেন্ট্রেটরসহ সমগ্র জেলায় ৫২টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ