হবিগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃত্যু। তবে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ষষ্ঠ তলায় করোনা রোগীদের জন্য দুই ইউনিটে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ। 

সরেজমিনে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দেখা গেছে, সেখানে রোগী ভর্তি রয়েছে মাত্র সাতজন। তবে করোনা রোগীর জন্য আছেন ২১ জন চিকিৎসক, সিনিয়র নার্স ১৮ জন এবং অন্যান্য স্টাফ ২৫ জন। তারা পর্যায়ক্রমে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 
তবে গুরুতর রোগীর জন্য নেই কোনো আইসিইউর ব্যবস্থা। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট কিংবা ঢাকায় পাঠাতে হয়। 

করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নার্স জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে রোগী রয়েছেন মাত্র সাতজন। আর তিনজন নার্স শিফট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনায় আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ রোগী বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, করোনা ইউনিটের জন্য আমাদের ২১ জন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স এবং অন্যান্য স্টাফ রয়েছে ২৫ জন। সকলেই শিফট অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়া আমাদের অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই। এর মধ্যে অক্সিজেনের ছোট সিলিন্ডার রয়েছে ১৩৪টি ও বড় সিলিন্ডার রয়েছে ৪৪টি। শিগগিরই লিকুইড সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে। 

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এসপি