সাড়ে ২৬ কেজির পাঙ্গাস মাছ

বলতে গেলে জেলে নিরঞ্জন হালদারের ভাগ্য আজ বেশ ভালোই ছিল। ভোরের দিকে ১৩ কেজি ওজনের বোয়ালের পর সন্ধ্যায় তার জালে ধরা পড়ল ২৬ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এক পাঙ্গাস মাছ।

শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ভাটিতে সঙ্গীদের নিয়ে মাছ ধরতে যান নিরঞ্জন। সন্ধ্যে নামার কিছুক্ষণ আগেই তার জালে ধরা পড়ে পাঙ্গাস মাছটি। 

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা নিরঞ্জন হালদার বলেন, শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দুই কিলোমিটার ভাটিতে চর কর্নেশনা এলাকায় জাল ফেলেছিলাম। সন্ধ্যার দিকে সাড়ে ২৬ কেজি ওজনের বিশাল পাঙ্গাসটি জালে ধরা পড়ে। পরে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে যাই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত মৎস্য আড়তে। 

তিনি বলেন, নিলামের মাধ্যমে চাঁদনি আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা এক হাজার ৬৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৩ হাজার ৭২৫ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।

চান্দু মোল্লা বলেন, কয়েকদিন ধরেই বড় পাঙ্গাস খুঁজছিলাম। সন্ধ্যায় নিরঞ্জনের জালে বড় একটি পাঙ্গাস ধরা পড়ে। উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি আমি কিনে নিই। এখন ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশি দামে বিক্রি করব।

এর আগে, জেলে নিরঞ্জন হালদার শনিবার ভোরের দিকে ১৩ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটি দৌলতদিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ১০০ টাকায় কিনে নেন। পরে তিনি ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ২৩ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, পদ্মা-যমুনার এ এলাকায় নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে। ইলিশের আকাল থাকলেও জেলেরা এসব মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। তবে মাছগুলো না ধরে সংরক্ষণ করা গেলে সেগুলো নদীতে ডিম ছেড়ে ব্যাপক হারে বংশবিস্তার করতে পারত।

মীর সামসুজ্জামান/আরএইচ