সাভারে নিখোঁজের তিন দিন পর রাজিয়া সুলতানা (০৮) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুল বন্ধক রাখা নিয়ে পারিবারিক কোন্দলের জেরে রাজিয়াকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে তার খালু নাজমুল (২৬)। এ ঘটনায় নাজমুলকে আটক করা হয়েছে।

রাজিয়া রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবতি বিষ্ণুপুর এলাকার আব্দুল জলিলের মেয়ে। সে সাভারের তরফ রাজাঘাট এলাকায় সোহেলের বাড়িতে পোশাক শ্রমিক বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকত।

আটক নাজমুল রংপুর জেলার পীরগাছা থানার চৌধুরানী এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহত রাজিয়ার আপন খালু।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নাজমুল ও রাজিয়াসহ তার বাবা-মা একই এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করত। এক সময় নাজমুল রাজিয়ার মায়ের এক জোড়া দুল বন্ধকের কথা বলে বিক্রি করে দেয়। সেই দুল বার বার ফেরত চাইলে ক্ষিপ্ত হয় নাজমুল। 

এদিকে শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে কাউকে না জানিয়ে রাজিয়াকে ঘুরতে নিয়ে যায় নাজমুল। পরে সাভারের তরফ রাজাঘাট এলাকার একটি ডোবার পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর লাশ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। রাজিয়াকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা সাভার থানায় একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। 

পরে নাজমুল রাজিয়ার মায়ের কাছে ফোন করে বলে, রাজিয়া তার কাছে আছে। ভাল আছে। এ ঘটনায় শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুলকে আটক করা হয়। আজ ভোরে সে রাজিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে তরফ রাজাঘাটের একটি বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে রাজিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে নাজমুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। 

মাহিদুল মাহিদ/এসপি