রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা সংক্রমিত আরও ৫১১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১২ দিনে রংপুর বিভাগে করোনায় প্রাণ হারালেন ১৯২ জন। গত দুদিনের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হার কমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার তিন জন, কুড়িগ্রামের তিন জন, নীলফামারীর দুই জন, রংপুরের দুই জন, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন।

একই সময়ে বিভাগে এক হাজার ৯৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৬, দিনাজপুরের ৮৪, রংপুরের ৮৩, নীলফামারীর ৮৩, পঞ্চগড়ের ৫৬, কুড়িগ্রামের ৫৬, গাইবান্ধার ৪৩ ও লালমনিরহাটের ২০ জন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ১২ জনসহ বিভাগে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১১ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৩৬ জন, রংপুরের ১৪২, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩৪, নীলফামারীর ৫০, লালমনিরহাটের ৪৩, কুড়িগ্রামের ৩৮, পঞ্চগড়ের ৩৪ ও গাইবান্ধার ৩৪ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন।

এছাড়া নতুন শনাক্ত ৫১১ জনসহ বিভাগে মোট ৩৪ হাজার ৫২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ১০ হাজার ৭০৯ জন, রংপুরের সাত হাজার ৬২১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের চার হাজার ৯৪৪ জন, গাইবান্ধার দুই হাজার ৮৮১ জন, নীলফামারীর দুই হাজার ৬৪৯ জন, কুড়িগ্রামের দুই হাজার ৫১৪ জন, লালমনিরহাটের এক হাজার ৯১১ জন এবং পঞ্চগড়ের এক হাজার ৮০৪ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে বুধবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এক লাখ ৮২ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারত সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোতে বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসএসএইচ