রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৭৪৫ জনের। এ নিয়ে গত ১২ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৭ জন। গত তিন দিনের তুলনায় বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর জেলার দুজনসহ দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ের একজন করে রয়েছেন।

একই সময়ে বিভাগে ৩ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৬৪ জন, রংপুরের ১১৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৬ জন,  নীলফামারীর ৮০ জন, কুড়িগ্রামের ৬৫ জন, পঞ্চগড়ের ৬৩ জন, গাইবান্ধার ৫১ ও লালমনিরহাটের ২০ জন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া পাঁচজনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৬ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৩৭ জন, রংপুরে ১৪৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩৪, নীলফামারীতে ৫১, লালমনিরহাটে ৪৩, কুড়িগ্রামে ৩৮, পঞ্চগড়ে ৩৫ ও গাইবান্ধার ৩৪ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯৬ জন।

এ ছাড়া নতুন শনাক্ত ৭৪৫ জনসহ বিভাগে ৩৫ হাজার ৭৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১০ হাজার ৯৭৩ জন, রংপুরে ৭ হাজার ৭৩৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৩০ জন, গাইবান্ধায় ২ হাজার ৯৩২ জন, নীলফামারীতে ২ হাজার ৭২৯ জন, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৫৭৯ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৯৩১ জন এবং পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৮৬৭ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি