মালিক যুবরাজের দাম হেঁকেছেন ৭ লাখ টাকা

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় আয়োজিত পশু মেলার প্রদর্শনীতে যুবরাজ পেয়েছিল সব থেকে বড় গরুর পুরস্কার। সাদা-কালো রঙের মিশেলে যুবরাজকে আসছে কোরবানির ঈদে ১৮ মণ ওজন ধরে মালিক এর দাম হাঁকছেন ৭ লাখ টাকা। সঙ্গে তিনি ফ্রি দিচ্ছেন প্রায় ৪ মণ ওজনের আরেকটি গরু।

যুবরাজের মালিক নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ছালাহউদ্দিন সেলিম। বাবা-মা আর ছয় ভাইকে নিয়ে তার পরিবার। আড়াই বছর আগে গাজীপুর থেকে ব্রাহমা জাতের একটি বাছুর এনেছেন তিনি লালনপালনের জন্য। দেশি খাবার আর সঠিক যত্নে লালনপালন করেছেন তিনি। আদর করে নাম দিয়েছেন 'যুবরাজ'।

ছালাহউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাছুর আনার পর থেকে ছয় ভাই মিলে গরুটিকে লালনপালন করেছি। সম্পূর্ণ দেশি খাবার দিয়ে তাকে লালনপালন করেছি। নিয়মিত খাবারের মধ্যে আছে সুজি, ভুসি ও খুদের ভাত।

তিনি বলেন, ১৮ মণ ওজনের যুবরাজের দাম গোশত হিসেব করে বিক্রি করলেও ৭ লাখ টাকা আসে। নোয়াখালী জেলার মধ্যে এত বড় গরু আর নেই। আমার গরু যদি ঢাকায় বিক্রি করতাম, তাহলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা দাম পেতাম। 

আরেকটি গরু ফ্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নোয়াখালীতে অনেক শিল্পপতি আছেন, যারা চাইলে যুবরাজকে কিনতে পারেন। আমি যুবরাজের সঙ্গে আরেকটা ৪ মণ ওজনের একটি এঁড়ে বাছুর ফ্রি দেব।

যুবরাজের সঙ্গে ফ্রি যাবে এই এঁড়ে গরু

ছালাহউদ্দিনের ছোট ভাই মিরাজ হোসেন বলেন, গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে। ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে। কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই, তাহলে কষ্ট কিছুটা কমবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিশাল আকৃতির যুবরাজ এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। যুবরাজ নাম রাখায় প্রতিদিনই মানুষ গরুটি দেখতে আসছে।

ফেনীর দাগনভূঞা থেকে যুবরাজকে দেখতে আসেন ইঞ্জিনিয়ার টিপু হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি শুনেছি নোয়াখালী জেলার সব থেকে বড় গরুটির নাম যুবরাজ। মানুষের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে দেখতে এসেছি। আমার কাছে গরুটি অনেক ভালো লেগেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাণিসম্পদ মেলায় প্রদর্শনীতে যুবরাজ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাই খামারি ছালাহউদ্দিন সেলিমকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এত বড় গরু পুরো নোয়াখালী জেলায় নাই বলে আমি বিশ্বাস করি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য ডিজিটাল পশুর বাজার খুলেছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুবরাজ নামের ষাঁড়টির ছবি ‘অনলাইন কোরবানির পশুর হাট’ নামের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করলে আমরা সহযোগিতা করব। এ ছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে দেওয়া হবে এ রকম একটি বড় ষাঁড় রয়েছে এখানে।

হাসিব আল আমিন/এনএ