সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় সংযোগ সড়ক না থাকায় গাছের গুঁড়ি বেয়ে সেতু পারাপার

চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিনানুই নতুন বাজার-গয়হাটা-মরিচপাড়া সড়কের বিনানুই খালের ওপর সেতুর দুপাশে ১০ মাস ধরে সংযোগ সড়ক নেই। ফলে ওই এলাকার ৭ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত এ ব্রিজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ও সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৪ টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকেই ওই ব্রিজের দু’পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে কাঠের গুঁড়ি বেয়ে ব্রিজ পার হচ্ছে। 

এ বিষয়ে বিনানুই গ্রামের আব্দুল মজিদ, মনু মিয়া, চরবিনানুই গ্রামের আব্দুল আউয়াল মোল্লা, চরসলিমাবাদ গ্রামের মুকুট মোল্লা, রফিক খাঁ, চরনাকালিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী, শান্তিনগর গ্রামের মনসুর আলী জানায়, ১০ মাস ধরে ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দু’পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে আমরা যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। তরুণ ও যুবকরা লাফিয়ে কাঠের গুঁড়িতে ওঠে, হাতের ওপর ভর দিয়ে পারাপার হয়। কিন্তু বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুরা পার হতে পারে না। ফলে তাদের এ পথে যাতায়াত প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে।

তারা আরও বলেন, ব্রিজ নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। বর্ষায় তা ভেঙে যায়। এরপর থেকেই আমাদের যাতায়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজ দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহনও চলাচল করে না। এলাকাবাসীর ধান, চাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারীবোঝাও নিতে পারে না। তাই ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না।

ব্রিজটির সাব-ঠিকাদার রমজান আলী বলেন, সেতু নির্মাণের পর মাটিভরাট করা হয়। কিন্তু বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই ওখানে মাটিভরাট করা হবে।

বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, শিগগির আবারও মাটিভরাটের কাজ শুরু করা হবে।

চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনু মিয়া বলেন, বন্যার পানির চাপে সেতুর মাটি ভেঙে গেছে। বিষয়টি আমার মাথায় আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মাটিভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

এমএসআর